কৃষি বিল নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দান : পক্ষে বিপক্ষে চলছে প্রচার

2nd October 2020 1:10 pm বর্ধমান
কৃষি বিল নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দান : পক্ষে বিপক্ষে চলছে প্রচার


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  গরু- লাঙল ও মোষই এখন হয়ে উঠেছে কৃষিবিলের প্রতিবাদকারী ও সমর্থনকারীদের  আন্দোলনের হাতিয়ায় । কৃষিবিলের সমর্থনে   গরুর গাড়ি ও ধানের চারা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের রাজপথে মিছিল করলো বিজেপি। ঠিক সেই সময়েই জেলার রায়নার ছোট বৈনানের মোমরেজ মোড়ে গরু-লাঙল ও মোষ নিয়ে কৃষিবিলের প্রতিবাদে পথ আবরোধ করলো তৃণমূল । এদিনই আবার  জামালপুরে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন হাজার হাজার মানুষ।তবে কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটার সাথেসাথে   ব্রাত্য হয়েপড়া গরু-লাঙলই এখন হঠাৎকরে কৃষিবিলের  সমর্থন ও প্রতিবাদ আন্দোলনের হাতিয়ার হয়ে উঠায় উৎফুল্ল  কৃষকরাও । কৃষিবিলের  সমর্থন ও বিরোধীতা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল দু’পক্ষই পূর্ব বর্ধমান জেলায় পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে।জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকাতেই ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন । বসে নেই সিপিএম নেতা কর্মীরাও । তাদের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভাও কৃষি  বিলের বিরোধীতায় আন্দোলন শুরু করেছে ।এ দিন একই  সময়ে বর্ধমান আরামবাগ রোডে  রায়নার মোমরেজ মোড়ে গরু-লাঙল,মোষ ও কৃষি সরঞ্জাম নিয়ে তৃণমূল পথ অবরোধ করে ।এই পথ অবরোধ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন রায়না ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি জুলফিকার আলি খান। একই সময়ে গরুর গাড়ি ও ধানের চারা নিয়ে কৃষিবিলের সমর্থনে শহর বর্ধমানের শুলিপুকুর থেকে বিসি রোড হয়ে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করলো বিজেপি। এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য “ কৃষিবিল নিয়ে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।তার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি কৃষিবিলের   সার্থকতার বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতেই বিজেপি পথে নেমেছে । ” অন্যদিকে এদিন কৃষিবিলের বিরোধীতায় 
জামালপুরে তৃণমূলের বড় প্রতিবাদ মিছিল হয়। মেমারি তারকেশ্বর রোডে হালাড়া মোড় থেকে শুরু হওয়া প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান হাজার হাজার মানুষ।কার্যত এই প্রতিবাদ মিছিল জন প্লাবনের রুপ নেয় ।  জামালপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৌছে সেই মিছিল শেষ হয় । প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান ও কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক । মেহেমুদ খান বলেন ,’এই কৃষিবিল কার্যকর হলে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হবে ।  আর ফায়দা লুটবে বৃহৎ পুঁজির বহুজাতিক  সংস্থা গুলি । সেই বাস্তবটা মানুষের কাছে তুলে ধরতেই তাঁরা দলনেত্রীর নির্দেশে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।